ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রুমি ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানসহ সংগঠনের ১০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
প্রায় দেড়শ ছাত্রদল নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দিকে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা হেলমেট পরা অবস্থায় একদল লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী তাদের ধাওয়া দেয়। এতে ছাত্রদলের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ছাত্রদলের ব্যানারটি মিশুক মুনীর চত্বরে পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিদার, হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মামুন, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুমসহ ১০ জন গুরুতর আহত হন। এর বাইরে আরও অনেকেরই শরীরে ইটের আঘাত লেগেছে।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করি। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানসহ ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের ঘাতকদের যারা উত্তরাধিকারী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা যাদের একমাত্র রাজনৈতিক অ্যাসাইনমেন্ট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে যারা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাবে এটাই স্বাভাবিক।’