২০২১ সালে বিশ্বসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স) হয়েছেন ভারতের চণ্ডীগড়ের ২১ বছরের তরুণী হারনাজ সান্ধু। বিশ্বসেরা সুন্দরীর মুকুট নিজের করে নিয়েছেন তিনি। আর মুকুটের পাশাপাশি মিস ইউনিভার্স সংস্থা থেকে গোটা এক বছর ধরে নানান সুবিধা ভোগ করবেন তিনি।
এক বছরের জন্য নিউইয়র্কে একটি পেন্টহাউসে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। মিস ইউনিভার্স সংস্থার প্রধান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে বিশ্বভ্রমণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান
মিস ইউনিভার্স হারনাজের ত্বক ও ডায়েটের জন্য বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট থাকবে।
খাবার জিনিস থেকে পোশাক সবই পাবেন সংস্থার পক্ষ থেকে। সেখান থেকে তাকে মডেলিংয়ের জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে দেওয়া হবে।
এর জন্য রাখা হবে বিশ্বের সেরা ফটোগ্রাফারদের। ফ্যাশন স্টাইলিস্ট, ত্বক এবং দাঁতের পরিষেবাও বিনামূল্যে পাবেন এই ভারতীয় তরুণী। তবে এসবকে ছাপিয়ে গেছে মাথার মুকুটটি। এর দাম শুনলেই বিস্মিত হবেন সবাই।
এই মুকুটের দাম ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি টাকার বেশি! মুকুটটির ওজন প্রায় এক কেজি। মুকুট এতো দাম হওয়ার অন্যতম কারণ, এর রয়েছে ১ হাজার ৭৭০টি হীরকখণ্ড।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে কমলে ১ হাজার ১৬৬ টাকা
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ইসরাইলের এইলাটে ৭০তম মিস ইউনিভার্সের আসর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্যারাগুয়ের নাদিয়া ফেরেইরা ও দক্ষিণ আফ্রিকার লালেলা এমএসওয়ানেকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নেন তরুণী হারনাজ।
২০১৭ সালে হারনাজ মডেলিং শুরু করেন। তিনি পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
হারনাজ একাধারে হিন্দি, পাঞ্জাবি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। তিনি পাঞ্জাবি ভাষায় শের লিখতে ভালোবাসেন। হারনাজের মা গাইনি চিকিৎসক।
তার অনুপ্রেরণাই হারনাজকে সাফল্য এনে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে হারনাজ লিখেছিলেন, ‘মা আমার স্বপ্নের নির্মাতা, সেই স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুপ্রেরণাও তিনি।’
ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ভ্রমণ জটিলতার কারণে এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে কারও অংশ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা, যাওয়া যাবে না দোকানেও!