বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ধর্ম

জোহর ও আসরের ফরজ নামাজে কিরাত চুপেচুপে পড়ার কারণ কী?



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:০৫ : অপরাহ্ণ

মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজে ইমাম কিরাত জোরে বা উচ্চস্বরে পড়েন। কিন্তু জোহর ও আসরের ফরজ নামাজে ইমাম কিরাত পড়েন চুপেচুপে। এর কারণ কী?

সুস্পষ্টভাবে এর প্রকৃত কোনো কারণ জানা না থাকলেও একটি হিকমত ছিল এই যে, ইসলামী আকীদা ও মাসায়েল সমৃদ্ধ ‘তা’লীমুল ইসলাম’ গ্রন্থে (উর্দু) উল্লেখ আছে-মক্কা নগরীর সাফা পাহাড়ের পাদদেশে আরকাম বিন আবুল আরকামের বাড়িতে দারুল আরকামে (হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শিক্ষা ও প্রচারকেন্দ্র) প্রত্যেক ফরজ নামাজে কিরাত উচ্চস্বরে পড়া হতো। এ সময় আরবের কাফের-মুশরিকরা সেখানে পাহারা দিতো। ইমাম যখন উচ্চস্বরে কিরাত পাঠ করতেন, তখন কাফের-মুশরিকরা সেখানে ইট, পাথর ও উটের নাড়িভুড়ি নিক্ষেপ করতো। এ নিয়ে রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তখন জিবরাঈল (আ.) এসে রাসুল (সা.) কে উপদেশ দিলেন-জোহর ও আসরে তারা (কাফের-মুশরিক) সক্রিয় থাকে, মাগরিবের সময় খাওয়া-ধাওয়ায় ব্যস্ত থাকে আর এশা থেকে ফজর পর্যন্ত ঘুমে থাকে। তাই জোহর ও আসরের নামাজে কিরাত চুপেচুপে পড়বেন আর মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজে কিরাত উচ্চস্বরে পড়বেন।

আবু মামার (রহ.) সাহাবী খাব্বাব (রা.) কে জিজ্ঞাসা করেন-রাসুল (সা.) জোহর ও আসরের ফরজ নামাজে কিরাত পড়তেন কি?

খাব্বাব (রা.) বললেন, হ্যাঁ পড়তেন।

আবু মামার পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন-এটা কীভাবে বোঝা যেতো?

খাব্বাব (রা.) উত্তরে বলেন, রাসুলের (সা.) দাড়ি নড়াচড়া দেখে বোঝা যেতো। (বুখারি, হাদিস : ৭৬০)

সুতরাং এর মাধ্যমে পরিস্কার হয়ে গেলো যে, চুপেচুপে তেলাওয়াত করার নামাযগুলোতে চুপেচুপে তেলাওয়াত করা রাসুলের (সা.) সুন্নাহ্ (আদর্শ) এবং গোটা মুসলিম উম্মাহ্ এ ব্যাপারে একমত।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘তিনি (রাসুল (সা.)) প্রত্যেক নামাজে তেলাওয়াত করতেন। তিনি যে নামাজগুলোতে আমাদের শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন; সেসব নামাজে আমরাও তোমাদের শুনিয়ে তেলাওয়াত করি। আর তিনি যেসব নামাজে আমাদের না শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন, সেসব নামাজে আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে তেলাওয়াত করি।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৩৮; মুসলিম, হাদিস : ৩৯৬)

ইবনে কুদামা (রহ.) বলেন, কেউ যদি চুপেচুপে পড়ার নামাজে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করে, তাহলে সে সুন্নতের বিপরিত কাজ করলো। তবে এমন করলেও তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।’ (আল-মুগনি, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ২৭০)

আরও পড়ুন:

একা একা মুরগি জবাই করা কি জায়েজ

স্ত্রী কি স্বামীকে তালাক দিতে পারেন?

আজান-ইকামতে রাসুলের নাম শুনে কি আঙুল চুমু খেয়ে চোখে লাগাতে হয়?

টাখনুর ওপরে প্যান্ট গুটিয়ে নামাজ পড়লে কি হবে?

যে কুকুরের কথা কোরআনে চার বার এসেছে

মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?

অজু ছাড়া কি কোরআন স্পর্শ করা যাবে?

আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে হাত দেয় কেন? 

মহানবী (সা.) কখনো আজান দেননি কেন?

হাদীসের নামে জালিয়াতি, প্রচলিত ১০ জাল হাদিস সম্পর্কে জেনে নিন

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর