আজানের সূচনা হয়েছে নামাজের জামাত অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থেকে।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, মুসলমানরা যখন হিযরত করে মদীনায় এলো, তখন তারা নামাজের জন্য অনুমানের ভিত্তিতে একটা সময় ঠিক করে নিতো এবং সে অনুযায়ী সমবেত হতো।
তখন নামাজের জন্য কেউ আহ্বান করতো না। একদিন তারা এ বিষয়ে আলোচনা করলো।
কেউ বললো, খ্রিষ্টানদের মতো নামাজের সময় ঘণ্টা বাজানো হোক। আবার কেউ কেউ প্রস্তাব দিলো, অগ্নিপূজারিদের মতো শিঙা বাজানো হোক।
তখন ওমর ফারুক (রা.) বললেন, ‘তোমরা কি নামাজের সময় সবাইকে আহ্বান করতে একজন লোক পাঠাতে পারো না?’
এ সময় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিলাল (রা.) কে বললেন, ‘বিলাল তুমি উঠো এবং নামাজের জন্য আহ্বান করো।’ (বুখারী ও মুসলিম হাদীস)
আজান দেওয়ার একটি বিশেষ নিয়ম হলো, আজান দেওয়ার সময় কানে আঙুল দেওয়া। (তিরমিজি হাদীস: ১৮১)
আজান দেওয়ার সময় কানে আঙুল দেওয়ার কারণ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বিলাল (রা.) কে আদেশ করেছেন, আজান দেওয়ার সময় নিজের দুই কানে আঙুল প্রবেশ করাবে। এতে তোমার আওয়াজ উঁচু হবে।’ (ইবনে মাজাহ হাদীস)
সুতরা আজানের আওয়াজ উঁচু ও ভারী করার জন্য আজানের সময় কানে আঙুল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নামাজ ছাড়াও যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন তার কানে আজান দিতে হয়। এর কারণ হলো, সন্তানের কানে সর্বপ্রথম যে আওয়াজ প্রবেশ করে সেটার প্রভাব তার বিবেক ও স্বভাবে গেঁথে যায়। তাই ইসলাম নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার বিধান দিয়েছে, যাতে তার জীবন ইসলামময় হয়।
