শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা ধর্ম

আজান-ইকামতে রাসুলের নাম শুনে কি আঙুল চুমু খেয়ে চোখে লাগাতে হয়?


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:০৬ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আজান ও ইকামতের সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নাম শুনলে অনেকে দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি একসঙ্গে চুমু খেয়ে চোখে বুলান দুহাত। এভাবে হাতে চুমু খেয়ে চোখে হাত বুলানো কি জায়েজ?

এই আমল করা বিদআত। কারণ এই মর্মে রাসুল (সা.)-এর সহিহ হাদিস তো দূরের কথা, কোনো মিথ্যা হাদিসও আসেনি।

এটা বলা হয়ে থাকে যে, আজান-ইকামতে রাসুলের নাম শুনে দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি একসঙ্গে চুমু খেয়ে চোখে বুলালে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।

যদি চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম বললেই তো চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এটা আদৌ রাসুল (সা.)-এর হাদিসে সাব্যস্ত হয়নি; বরং এটি একটি মিথ্যা হাদিস।

এই আমলটুকু রাসুল (সা.) করতে বলেন নাই। বরং রাসুল (সা.)-এর নাম শুনে দরুদ পড়াটা হচ্ছে বিধান।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম শুনলে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অথবা ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ’ বলা হচ্ছে সুন্নাহ।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হলো, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ল না সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত।’

এখন দরুদ পড়ার এই বিধানকে, সুন্নাহকে বাদ দিয়ে তারা আঙুল চুমু খেয়ে চোখে বুলান।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় বখিল বা কৃপণ ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি, সে হলো ওই ব্যক্তি, যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ সে দরুদ পড়ে নাই।’

তাহলে বোঝা গেল, যে লোক দরুদ না পড়ে আঙুল চুমু খেয়ে চোখে বুলান, সে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বখিল ব্যক্তি।

(সংগৃহীত ও সম্পাদিত)

আরও পড়ুন:

টাখনুর ওপরে প্যান্ট গুটিয়ে নামাজ পড়লে কি হবে?

যে কুকুরের কথা কোরআনে চার বার এসেছে

মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?

অজু ছাড়া কি কোরআন স্পর্শ করা যাবে?

আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে হাত দেয় কেন? 

মহানবী (সা.) কখনো আজান দেননি কেন?

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর