পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড.বেগম জেবুননেছার আদালতে এ নালিশি মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মামলার আবেদনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, মেট্রো এসপি নাঈমা সুলতানা, খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির ডিবি বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইন্সপেক্টর কাজী এনায়েত কবিরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার সময়কাল উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে সকাল ১০টা পর্যন্ত।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত রাজনীতি সংবাদকে জানান, বাবুল আক্তারের পক্ষে ৬ জনকে আসামি করে একটি পিটিশন দেওয়া হয়েছে। আদালত ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ই জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়।
ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই।
সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। সেই থেকে দুটি মামলায় তদন্ত করছে পিবিআই।