বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা ইসলামী দল

এবার রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জনের ঘোষণা দিলো ইসলামী আন্দোলন


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১ জানুয়ারি, ২০২২ ৪:০২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

এ সময় তিনি নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানান।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ও মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশ রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।

সংলাপে না যাওয়ার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০১২ ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে, যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হয়েছেন। আর ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ২০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে, যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে।’

আরও পড়ুন: কারা নির্বাচন কমিশনার হবেন, সেই তালিকা হয়ে গেছে: আকবর আলি খান

এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের জন্য কমিশনকে রাষ্ট্রপতির জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় তারা হতাশ উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। তা ছাড়া অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাকে রাষ্টপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।’

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘জন–আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।’

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করে ইসলামী আন্দোলন সাত দফা দাবি জানায়।

তার মধ্যে রয়েছে-নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

ইসি গঠন আইন চলমান সংসদের মাধ্যমে নয়; রাজনৈতিক সংগঠন ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে ইসি গঠনসংক্রান্ত আইন প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

এ ছাড়া নির্বাচনে কোনো ধরনের অসততা, অদক্ষতা ও পক্ষপাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

জনপ্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন ইসির হাতে ন্যস্ত করতে হবে।

নির্বাচনকালীন সহিংসতার প্রতিটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসিকেই নিতে হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে দেখলে তাদের স্থায়ীভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ প্রভৃতি দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন: মির্জা ফখরুল

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর