রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ মার্চ, ২০২৪ ৬:২৮ : অপরাহ্ণ
পবিত্র রমজানে অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেকে সাহরি (শেষ রাতের খাবার) খাওয়ার সময় ফজরের আজান শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় আজান চলাকালে কিংবা আজানের শেষ পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যাবে?
ফজরের আজানের ঠিক ৪-৫ মিনিট আগে মসজিদের মাইকে মুয়াজ্জিন ঘোষণা দেন-‘সাহরি খাওয়ার সময় শেষ। এখন আর কেউ সাহরি খাবেন না।’
কিন্তু মুয়াজ্জিনের এমন ঘোষণার সঙ্গে রাসুলের (সা.) ঘোষণার সম্পূর্ণ বৈপরীত্য পাওয়া যায়।
সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন আজান শোনে, আর এ সময় তার হাতে খাবারের প্লেট থাকে, সে যেন আজানের কারণে খাবার বন্ধ না করে, যতক্ষণ না সে পেট ভরে খেয়ে নেয়।’ -(সুনানে আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়, হাদিস নম্বর ২৩৪২; মুসনাদে আহমাদ; ২য় খণ্ড, হাদিস নম্বর ৫১০, সনদ হাসান।)
সুতরাং ফজরের আজান হলে রোজাদারের খিদে থাকলে সে প্রয়োজন মতো খেয়ে নেবে। এটাই হাদিসের বাহ্যিক অর্থ।’
এ সম্পর্কে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.) বলেন, ‘এটা বান্দার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং ছাড়।’-(তামামুল মিন্নাহ লিল আলবানি, পৃষ্টা ৪১৭-৪১৮)।
পবিত্র কোরআনে সাহরির ব্যাপারে বলা হয়েছে-‘আর পানাহার করতে থাক যতক্ষণ না রাতের কালো রেখার বুক চিরে ভোরের সাদা আলো সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৭।)-
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বিশিষ্ট মুফাসসির এবং তাবেয়ি কাতাদা (রহ.) বলেন, আয়াতে বর্ণিত দুটি নিদর্শনই শরিয়তের সুস্পষ্ট সীমারেখা। কাজেই, মুয়াজ্জিনের আজান যেন তোমাদের সাহরি খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। (আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারির আত তাবারি; তাফসিরে তাবারি, ৩য় খণ্ড, ২৫৫পৃ.)।
আরও পড়ুন:
জোহর ও আসরের ফরজ নামাজে কিরাত চুপেচুপে পড়ার কারণ কী?
একা একা মুরগি জবাই করা কি জায়েজ
স্ত্রী কি স্বামীকে তালাক দিতে পারেন?
আজান-ইকামতে রাসুলের নাম শুনে কি আঙুল চুমু খেয়ে চোখে লাগাতে হয়?
টাখনুর ওপরে প্যান্ট গুটিয়ে নামাজ পড়লে কি হবে?
যে কুকুরের কথা কোরআনে চার বার এসেছে
মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?
অজু ছাড়া কি কোরআন স্পর্শ করা যাবে?
আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে হাত দেয় কেন?
মহানবী (সা.) কখনো আজান দেননি কেন?
হাদীসের নামে জালিয়াতি, প্রচলিত ১০ জাল হাদিস সম্পর্কে জেনে নিন