চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি প্রত্যাহার না করায় আবারও বিক্ষোভ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এ সময় সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। এতে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় কয়েকজন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মূল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এক পর্যায়ে পাচলাইশ থানার ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ বিক্ষোভকারী একজনকে মারতে মারতে নিয়ে যান পাশের এপিক হেলথের ভেতরে। সেখানে এক নারী কিডনি রোগীকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেন ওসি নাজিম উদ্দিন।
ঘটনার প্রতিবাদ করায় আরেক কিডনি রোগীকে কলার ধরে মারতে থাকেন ওসিসহ কয়েক পুলিশ সদস্য। তাতে মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জরুরী ভিত্তিতে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ভুক্তভোগীরা জানান, পুলিশ যখন আমাদের লোককে কলার ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে তখন আমি পেছনে পেছনে ছুটে যাই। এসময় একজন পুলিশ সদস্য আমকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, এখানে তো ল্যাং মারার ঘটনা ঘটেনি। শত শত লোকজনের মধ্যে কে যে কার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গেছে।
সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান জানান, পুলিশের কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেন রোগীরা। বেলা বারোটার দিকে তারা এসে অবস্থান নেন হাসপাতালের সামনের সড়কে।
তাদের দাবি, ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে মৃত্যু ছাড়া পথ নেই আর।
তবে ফি প্রত্যাহারের কোনো নির্দেশনা না থাকায় বাড়তি দামেই ডায়ালাইসিস করার কথা জানান স্যান্ডর ডায়ালাইসি সেন্টারের কর্মকর্তারা।
২০১৭ সাল থেকে ১০ বছরের জন্য এখানে ভর্তুকি মূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা চালু করে সরকার। গত বছর পর্যন্ত ৫১০ টাকায় ডায়ালাইসিস করতে পারলেও এবার ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর পাশাপাশি ভর্তুকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়ায় খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।
এমন অবস্থায় চারদিন ধরে আন্দোলন করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।