বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

লালমনিরহাটে পুলিশের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ এপ্রিল, ২০২২ ৪:৩৭ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

লালমনিরহাটে আটকের পর পুলিশের নির্যাতনে রবিউল ইসলাম খান (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার চর্কেরথান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল ইসলাম খাঁন সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া এলাকার দুলাল খানের ছেলে। তিনি পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। তার ৮ মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে।

নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কাজীর চওড়া গ্রামে বৈশাখী মেলা থেকে রবিউলকে জুয়াড়ি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে বেদম প্রহার করা হয়। এতে রবিউল সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিউলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা রংপুর-লালমনিরহাট মহাসড়কের মহেন্দ্রনগর বটতলা এলাকায় রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের দাবি, নিহত রবিউল একজন চিহ্নিত জুয়াড়ি। তিনি অসুস্থ ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশ যদি তাকে (রবিউল) নির্যাতন করে থাকে, আর সে কারনে যদি তার মৃত্যূ হয়, তাহলে আমরা এটা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করব। দোষী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।’

ঘটনার প্রত্যক্ষর্শীদের ভাষ্য, বৈশাখী মেলায় আসা রবিউলকে জুয়াড়ি সন্দেহে আটক করলে পুলিশের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। সে সময়েই পুলিশ তাকে মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি।

নিহত যুবকের ছোট ভাই সোহাগ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাই কখনোই জুয়া খেলতো না। সে তার বাচ্চার জন্য খেলনা কিনতে মেলায় গিয়েছিল।’

সোহাগ খানের দাবি, এসআই হালিমুর রহমানের নির্যাতনেই তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম ও মা সাফিয়া বেগম জানান, রবিউল ছিলেন তাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তারা ২ জনই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হালিমুর রহমানের বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই হালিমুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) কামরুল হাসান প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘কীভাবে রবিউললের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর