সাবেক নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন তিনি। নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা হয়েছিলো।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার তুলাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কোতোয়ালী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে হেলালুদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এখন থানায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ বিষয়ে বিস্তারিত ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) পক্ষ থেকে জানানো হবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একরামুল করিম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের আসামি করে চট্টগ্রামে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের রোষানলে পড়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিল আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এই হেলালুদ্দীনসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছিল সে সময়কার আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন হেলালুদ্দীন। পরে তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। ওই মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যান তিনি। অবসরে যাওয়ার পর তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক ৩ সিইসিসহ ১৮ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা