নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসাটি একরামুলের ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, নোয়াখালী সুধারাম থানায় একরামুল করিমসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো. খোকনকে (২৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী নিহত খোকনের বাবা মফিজুল হক। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। ওই মামলায় একরামুল করিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, চারবারের এমপি একরামুল গত ১৫ বছরে অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান একরামুল।
একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী কিছুদিন আগে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তার ভাতিজা জহিরুল হক রায়হান কবিরহাট পৌরসভার মেয়র।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র ঘোষণা