শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বান্দরবানে ব্যাংক লুট ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২৪ ৪:০২ : অপরাহ্ণ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
Rajnitisangbad Facebook Page

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা ও লুটের ঘটনায় যা যা করার সবই করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) হঠাৎ করে শুনলাম পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির একটা প্রচেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে যা তথ্য আসছে কুকি-চিন যে গ্রুপটি রয়েছে, যারা আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল। র্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে। ইদানিং কুকি-চিন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করছেন। রুমাতে সোনালী ব‌্যাংকে ঢোকার আগে বৈদ্যুতিক যে সাব-স্টেশন ছিল সেটাকে বন্ধ করে তারা ব‌্যাংকের দিকে অগ্রসর হন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ ও ব‌্যাংকের ম্যানেজার সবাই তারাবির নামাজে ছিল। সেই সময় তারা ঢুকে দুই পুলিশকে আহত করে দুটি এসএমজি ও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করে। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসারদের শর্টগানগুলোও তারা নিয়ে নেয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, আজকে দিনের বেলায় আমরা দেখলাম, থানছিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে আক্রমণ করেছে। এই অপারেশনটা এখনো চলছে। আমাদের পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে। সেখান থেকে কত টাকা নিয়েছেন বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ তা এখন জানাতে পারব না। এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার, আমরা করব। এখানে যারা জড়িত বা করেছে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নেবো।

সরকারের যথেষ্ট পরিমাণ ফোর্স রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সেখানে পুলিশ ও বিজিবি রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে সেনাবাহিনীও যাবে। আর এ বিষয়টি আমাদের কাছে একেবারে নতুন। থানছি একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা। এটা পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের মূল জায়গা। রুমাও শান্তিপূর্ণ জায়গা ছিল, সেখানে বেশকিছু দিন ধরে শান্তি বিরাজ করছিল। সেই জায়গা তারা কেন বেছে নিল, সেই সবকিছু দেখার বিষয় রয়েছে। এগুলো দেখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন:

এবার দিনদুপুরে থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি

বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে কুকি-চিনের হানা, টাকা-অস্ত্র লুট, ম্যানেজার অপহরণ

সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে দু’দেশের সঙ্গেই আলোচনা হচ্ছে। সীমান্তে ওই দেশে একটা চক্র রয়েছে, আমাদের দেশেও একটা চক্র রয়েছে। যারা নাকি অবৈধ ব্যবসা করে। দেশের পণ্য ওই দেশে নিয়ে যায়, ওই দেশের পণ্য এদেশে নিয়ে আসে। সীমান্ত পাড়ে যারা থাকেন তারা দুর্ধর্ষ, তাদের দুর্ধর্ষই বলব, তারা কোনো নিয়মকানুন মানেন না। কখনও ওই দেশে ঢুকে যায়, আবার কখনও এই দেশে চলে আসে। তখন সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে ঘটনা ঘটে যায়।

সীমান্তে শুধু তো বাংলাদেশের মানুষই হতাহত হচ্ছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সঠিক নয়। বাংলাদেশের মানুষ ওই দেশে যখন ঢুকে যায়, তখন ক‌্যাজুয়ালটি হয়। ওই দেশের মানুষ যখন আমাদের দেশে আসে, আমরা ফলো করি যাতে নিহত না হয়। ওই দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যেন নন লেথাল অস্ত্রগুলো (প্রাণঘাতী নয়) ব্যবহার করে, যাতে ক্যাজুয়ালিটি না হয়।

আরও পড়ুন: সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেলো বিএসএফ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর