শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা রাজধানী

গ্রামীণ টেলিকমের সামনে ঝাড়ু হাতে বহিরাগতরা, ঢুকতে পারছেন না ড. ইউনূস


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:১১ : অপরাহ্ণ
আজ সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে ঝাড়ু হাতে কয়েকশ নারী-পুরুষ অবস্থান নেন। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবন জবর দখল করে রেখেছে বহিরাগতরা। ভবনে ঢুকতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসও।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১৪ তলাবিশিষ্ট এই ভবনের সামনে ঝাড়ু হাতে বহিরাগত কয়েকশ নারী-পুরুষ অবস্থান নেন। তারা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ভবনটিতে কর্মরত কাউকে এমনকি ভবন পরিদর্শনে আসা কাউকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি তারা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ তলাবিশিষ্ট গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই দিনের পর থেকে ভবনটিতে তালা মেরে দেওয়া হয়।

গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-গ্রামীণ কল্যাণ; গ্রামীণ টেলিকম; গ্রামীণ শক্তি; গ্রামীণ সামগ্রী; গ্রামীণ ফান্ড; গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন; গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন এবং গ্রামীণ উদ্যোগ। এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ দুপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ ৪ দিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম। তাহলে দেশে আইন আদালত আছে কীসের জন্য? আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।’

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছেন জানিয়ে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু তারা ঘুরে গিয়ে কোনো অসুবিধা দেখছেন না বলে জানান! জবরদখলের পর আমরা নিজের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তারা আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাস করছে। নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কিনা এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি। যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে। যখন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ হচ্ছে তখন এ অবস্থা! দেশবাসীকে বলবো, এভাবে দেশ কীভাবে চলে?’

ড. ইউনূস বলেন, ‘মামলা হোক। আদালতে আমাদের অনেক মামলা চলমান। সেভাবে আমরা মোকাবিলা করবো। কিন্তু জবরদখল কেন! দেশের মানুষের কাছে বিচারের ভার দিলাম।’

আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কাছে বিচারের ভার দিলাম: ড. ইউনূস

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর