‘নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কিনা-এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ ৪ দিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ১৪ তলাবিশিষ্ট গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, ‘পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু তারা ঘুরে গিয়ে কোনো অসুবিধা দেখছেন না জানান! জবরদখলের পর আমরা নিজের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তারা আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাস করছে। নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কিনা এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। যখন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ হচ্ছে তখন এ অবস্থা! দেশবাসীকে বলবো, এভাবে দেশ কীভাবে চলে? আমাদের সব অফিসের প্রধান কার্যালয় এটি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এখান থেকে কাজ করা হয়।’
নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন রাখেন, ‘হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘মামলা হোক। আদালতে আমাদের অনেক মামলা চলমান। সেভাবে আমরা মোকাবিলা করবো। কিন্তু জবরদখল কেন! দেশের মানুষের কাছে বিচারের ভার দিলাম। পুলিশের কাছে আমরা সহযোগিতা চেয়ে পাইনি।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, বাধাগ্রস্ত হতে পারে বিদেশি বিনিয়োগ