মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বার্তা

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন হলে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ৯:৪৬ : পূর্বাহ্ণ
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দপ্তরের ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিক জ্যাকব মিল্টনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরেক বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা এবং সহিংসতা নিয়ে আপনার বিবৃতিটি লক্ষ করেছি। পুলিশ অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে। তারা সমাবেশের পূর্বে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির শত শত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে, আটক থেকে বাদ পড়েনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শত শত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতায় আমরা নিন্দা জানাই। পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীর নিহত হওয়া, হাসপাতাল ও বাসে আগুন দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। একইভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। আমরা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই, তারা যেন ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সবার দায়িত্ব। ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, সুশীল সমাজ ও মিডিয়া সবার দায়িত্ব।’

অপর এক প্রশ্নে মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, সম্প্রতি বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতা এবং ভিন্নমতের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছে সরকারের মদদপুষ্ট কিছু মিডিয়া এবং তাদের সমর্থকেরা। এসব মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে, সরকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি করছে। যুক্তরাষ্ট্র কি এ ধরনের নজরদারি করার অনুমতি দেবে?

জবাবে ম্যাথিউ বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিকদের বিস্তৃত পরিসরে যোগাযোগ করতে হয়। যেমন—সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে হয়। এটা তাদের নিয়মিত কাজের অংশ এবং কূটনীতিকেরা তাদের এই কাজ অব্যাহত রাখবেন।’

সহিংস কর্মকাণ্ড ও প্রাণহানির দায়ে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না-সাংবাদিক জ্যাকব মিল্টনের করা অপর এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ নিয়ে এর আগে করা প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছি, সেটা এ ক্ষেত্রেও কার্যকর। আমরা এটা স্পষ্ট করে বলেছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সমর্থনে প্রয়োজন হলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নেবো, যা আমি পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে পর্যালোচনা করছি না।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর