ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে প্রচারণার মাঠে নেমেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের হাজী মুকসুদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
পাঁচ গ্রামের সচেতন নাগরিক ও সুধী সমাজের ব্যানারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এতে অরুয়াইল ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউপি আওয়ামী লীগের দ্বিতীয়বারের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত লোকজনের কাছে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া কলারছড়া প্রতীকে ভোট চান।
এর আগে গতকাল বুধবার ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।
মৃধা সরে দাঁড়ানোর পর ভোটের মাঠ একপ্রকার ফাঁকা হয়ে যায়। কারণ সাত্তারের সঙ্গে যে তিন প্রার্থী রয়েছে ভোটের মাঠে তাদের কোনো অবস্থান নেই।
এই তিন প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।
এর গত ১৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের তিন নেতাও নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।
এরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন এবং আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ভোটাররা বলছেন, চার ‘হেভিওয়েট প্রার্থীর’ সরে দাঁড়ানোর ফলে নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়ের পথ সুগম হয়েছে।
ভোটারদের প্রশ্ন, সাত্তারকে জেতাতেই কি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন?
উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: এবার সরে দাঁড়ালেন মৃধা, ফাঁকা মাঠে সাত্তার
