শ্রীলঙ্কার নেতারা এখন যেভাবে পালাচ্ছেন, বিএনপির নেতারা সেভাবে আগেই পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘‘তারেক রহমান ‘আমি আর রাজনীতি করবো না’ মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।’’
আজ শনিবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকায় তাদের (বিএনপি) নেতা মাহবুবুর রহমানকে দলের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করেছিল। ৮০ সালে জিয়াউর রহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যান তখন তাকেও জুতা নিক্ষেপ করেছিল। এখন নিজেরা কীভাবে পালাবেন সেটির পথ খুঁজুন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভীসহ দলটির নেতারা পদ্মা নদীর ওপারে কীভাবে যাবেন- তা দেখার অপেক্ষায় আছি। তারা কি গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন, নাকি আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে ওপারে যাবেন।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের সবাই চোর, ওবায়দুল কাদের সেটা স্বীকার করেছেন: দুদু
পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে বলে বিএনপি গুজব ছড়িয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘আমাদের সরকার যখন পদ্মা সেতু করছিল, তখন বিএনপি দেশে গুজব ছড়িয়েছিল যে, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। তাদের গুজব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, এতে অনেক নিরীহ মানুষ মারা যায়। এছাড়া সরকার যখন ভারত থেকে করোনা টিকা নিয়ে এসে দেশের মানুষকে দেওয়া শুরু করলো, তখন বিএনপি গুজব ছড়ালো টিকা কাজ করে না। রিজভী সাহেব বক্তব্য দিলেন, ‘আমাদের করোনা টিকা অকেজো।’ পরে তিনি লুকিয়ে টিকা নিয়েছিলেন।’’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এ প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।