শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

করোনামুক্ত হোক বিশ্ব, নতুন বছরের প্রত্যাশা


বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) প্রকাশের সময় :১ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:০৮ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

মহাকালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেল ২০২১ সাল।

এ বছরের সব দুঃখ-বেদনা ভুলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে করোনামুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশায় বরণ করা হচ্ছে ২০২২ সালকে।

করোনাভাইরাস মহামারির ছায়াতেই বিশ্বজুড়ে এবারও কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে।

দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এ পর্যন্ত সাড়ে ৫৪ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে আবার গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

ওমিক্রন নামে করোনার আরেকটি ধরন ইতোমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

করোনা ডেলটা এবং ওমিক্রনের সংক্রমণের কারণে অনেক দেশ ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বাতিল করছে।

খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২২ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিস্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রতি বছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারের উৎসবের আমেজও অনেকটাই ম্লান।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তবে বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সতর্কতা প্রতিপালনের বিকল্প নেই। একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: হঠাৎ পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী, হাঁটলেন বোনকে নিয়ে

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘২০২০ এবং ২০২১ খ্রিস্টাব্দ বাঙালি জাতির জীবনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান-২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করি। সার্কভুক্ত পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানরা সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিয়েছিলেন। তা ছাড়া বিশ্বের ৭৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা ভিডিও বার্তা ও অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন। যেখানে সবাই আমাদের সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আমাদের সরকারের উদ্যোগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরে জাতির পিতার নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।’

নববর্ষ মানেই সবার মধ্যে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা।

বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরের অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।

স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি করোনামুক্ত বিশ্ব।

তবে, করোনার টিকা ছাড়াও অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাসহ মানবসম্পদ তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে।

গত বছরের মতো আগামী বছরটাও মোটা দাগের চ্যালেঞ্জ।

আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ব আবার স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে, এটাই নতুন ইংরেজি বছরে সবার প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর