১৯৭১ সালের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যার জন্য পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি। আমরা আশা করি, এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে তারা।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে জানিয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘ঠিক পরাজয় মেনে আত্মসমর্পণের পূর্বক্ষণে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক সহস্রাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। পরাজয় সুনিশ্চিত ঠিক তখনই তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এবং জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করলো। সেদিন রাজাকার, আলবদর দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা।’
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা আশা করি, আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার মূল ইতিহাস জানবে এবং মনে ধারণ করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
এখনো কেন বুদ্ধিজীবীদের তালিকা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার ইতিহাস ধ্বংস করেছে।’৭৫-এর পর টানা প্রায় ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম আমরা। এসময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের দখলে। এর মধ্যে অনেক তথ্য হারিয়ে গেছে। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সঠিক তালিকা করা হচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্য, বিজয়ের ৫০ বছরেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পাইনি: মির্জা ফখরুল
