চট্টগ্রামের হাজারী গলির এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ২০টি সোনার বার লুট করার অভিযোগে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ছয় পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে ওসি সাইফুল ছাড়া বাকি পাঁচ কর্মকর্তা হলেন-এসআই মোতাহের, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানা ।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফেনী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নূরন্নবী।
ঘটনার বিষয়ে এসপি খোন্দকার নূরন্নবী বলেন, চট্টগ্রামের হাজারী গলির গোপাল কান্তি দাস নামে একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, গত রোববার (৮ আগস্ট) তিনি চট্টগ্রাম থেকে ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় পৌঁছলে ডিবি পুলিশ তার গাড়ি থামায়। এরপর তাকে আটক করে সোনার বারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এসপি বলেন, এমন অভিযোগে ভিত্তিতে গতকাল গোপাল কান্তি দাস নামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডিবি অফিসারদের সামনে হাজির করি। তখন ডিবির চারজন অফিসারকে গোপাল কান্তি দাস চিহ্নিত করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আরও দুই কর্মকর্তার নাম জানায় তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযুক্ত ছয় অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গোপাল কান্তি দাস জানিয়েছেন, ২০টি সোনার বারের বর্তমান বাজারমূল্য ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
