শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

‘এটাকে মেনে নেওয়া যায় না’, চসিক নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কাদের মির্জার


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৫:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ‘আজ জাতির জনক বন্ধবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগ পথহারা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বরং রক্তপাত হয়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না।’

বুধবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরকারী মুজিব কলেজ মাঠে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।

কাদের মির্জা তার ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব পদ বাঁচাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আপনি মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে কতদিন টিকে থাকবেন। ঢাকায় বসে রাজনীতি করবেন। আমার নেতাকর্মীরা আপনাদের পিছনে স্লোগান দেয়। ওবায়দুল কাদের আমাকে টেলিফোনে বলেন ‘তুমি আমার পদ খাবে নাকি?’ আপনি পদের জন্য আত্মসমর্পণ করেছেন।’

আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী ৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী প্রসঙ্গে বলেন, ‘লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী কী বললেন? ওবায়দুল কাদেরের পরিবারে রাজাকার। আমার নানা এমএলএ ছিলেন। ৬৩ সালে তিনি মারা যান। তাহলে তিনি কিভাবে শান্তি কমিটির সদস্য হলেন? আমার বাবা নীতিনৈতিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অনেক কষ্টে আমাদের একটি বড় পরিবার চালাতেন। আপনি (ওবায়দুল কাদের) বরদাস্ত করলেও আমি বরদাস্ত করতে পারবো না। এক দফা এক দাবি, একরাম তুই কবে যাবি? আগামী রোববারের হরতালে একটা পাখিও উড়তে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, আজকে কষ্ট লাগে, ‘আমি অপরাধী। আমি অপরাজনীতির বিরদ্ধে কথা বলেছি। আমি টেন্ডারবাজীর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি চাকরি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের কথা বলেছি। আমি বলেছি অস্ত্রবাজীর বিরুদ্ধে, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে। আমি বলেছি আমার ভোট আমি দেবো যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো। এই কথাগুলোর জন্য আমাকে কেউ কেউ অপরাধী মনে করে। কিন্তু কি অপরাধ করেছে আমার ভোটারেরা?’

কাদের মির্জা বলেন, ‘পাঁচ শতাংশ ভোটও বিগত নির্বাচনগুলোতে সংগৃহিত হয়নি। আমি সেই ভোটবিমূখ ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনার জন্য অনেক কথা বলেছি, সর্বশেষ আমি বলেছি, ভোটের দিন যদি আমি অনিয়মের ভোটের সাথে থাকি তাহলে আল্লাহ যেন সেদিন আমার মৃত্যু দেয়। এই কথা বলার পর আমার ভোটাররা, ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে। ৪টার পরও অনেক মহিলা ছিলো কেন্দ্রে। স্বত:স্ফুর্ত নির্বাচন, আমার মনে হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম, এটা আমার কথা নয়। এটা আমাদের মিডিয়া কর্মীদের কথা। তারাই বলেছে।’

নাগরিক সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর