শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

রাজশাহীতে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৩


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৩৮ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

রাজশাহীর বাঘার আড়ানী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষকালে পিস্তলের ছয়টি ফাঁকা গুলি এবং আট থেকে দশটি ককটেল বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়।

পৌর এলাকার তালতলায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগে অংশ নিয়ে কাটাখালীর মেয়র আব্বাস আলী আড়ানী পৌরসভায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর বিপক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচ শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে আড়ানী বাজারের তালতলায় আড়ানী পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদের নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দেন কাটাখালী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুতরাং আপনারা তাকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথসভার প্রায় শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র সমর্থক আকস্মিক হামলা চালান। এ সময় মুক্তার আলীসহ তার সমর্থকেরা গুলিবর্ষণ শুরু করেন এবং বোমা হামলা চালান। এ সময় শাহীদের সমর্থকেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এরপর মুক্তার মাইকিং করে তার সমর্থকদের ডাকেন। শাহিদসহ উপস্থিত নেতাকর্মীরা এসময় সংগঠিত হয়ে মুক্তারের সমর্থকদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এসময় মুক্তারের প্রায় পাঁচ শতাধিক সমর্থক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এদের মধ্যে সশস্ত্র কয়েকজন সমর্থক গুলিবর্ষণ শুরু করে। বোমা হামলা চালায়। দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহিদের সমর্থকদের তাড়া করে। মুক্তারের সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসময় শাহিদের ভাগ্নে তুষার আহত হন। একপর্যায়ে মুক্তারের সমর্থকরা সেখানে নৌকা প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয় এবং মেয়র প্রার্থী শাহিদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া শতাধিক দোকানে লুট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর