রাজধানীতে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় যুবদলের চট্টগ্রামের তিন নেতা মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, মোহাম্মদ শাহেদ ও আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানায় এসব মামলা দায়ের হয়।
মোশাররফ হোসেন দীপ্তি নগর যুবদলের সভাপতি ও মোহাম্মদ শাহেদ সাধারণ সম্পাদক। আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন।
তবে এ তিন নেতা যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও রয়েছেন।
মোশাররফ হোসেন দীপ্তি যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং মোহাম্মদ শাহেদ ও আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
দীপ্তি ও শাহেদের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি এবং রাসেলের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ১টি মামলা দায়ের হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদকে আসামি করা হয়েছে। দুজনই দাবি করেছেন, ঘটনার দিন চট্টগ্রামে ছিলেন তারা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গত ১২ নভেম্বও ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাত থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে।
এই ১৫টি মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ সাড়ে পাঁচ শ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের বেশিরভাগই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
য্বুদলের চট্টগ্রামের তিন নেতা দাবি করেছেন, তারা ঘটনার সময় চট্টগ্রাম নগরীতে ছিলেন। তারা মনে করছেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এসব ‘গায়েবি’ মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, রাজধানীতে ওই ঘটনার সময় আমি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছিলাম। চট্টগ্রামে থেকে ঢাকার ঘটনায় মামলার আসামি হলাম।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ঘটনার সময় আমি নগরীর চান্দগাঁওয়ের বাসায় ছিলাম। টেলিভিশনে তখন ওই ঘটনার খবর দেখছিলাম। ঘটনা¯’লে না থাকলেও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার কারণে গায়েবি মামলার আসামি করা হয়েছে।