সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মানসুর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এই দায়িত্ব প্রযোজ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুই মাসের মতো ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এই আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবো।’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে পারে। পোশাক কারখানা এলাকাগুলোতে যা আরম্ভ হয়েছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। পুলিশ একেবারে অকার্যকর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান