সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

ঘুমধুম সীমান্তের বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং, খোলা হলো আশ্রয়কেন্দ্র


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, বান্দরবান প্রকাশের সময় :৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৮:৩৩ : অপরাহ্ণ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় ঘুমধুম সীমান্তবর্তী ২৪০টি পরিবারকে ওই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘুমধুম সীমান্তের দুটি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশের ভেতরে পড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে দুজন নিহত হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের সচিব এরশাদ উল্লাহ হক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি থামেনি। ঘুমধুম ইউনিয়নের একেবারে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে। গ্রামগুলো হলো তুমব্রু কোনার পাড়া, তুমব্রু মাঝের পাড়া, ভাজাবনিয়া পাড়া, তুমব্রু বাজার পাড়া, তুমব্রু চাকমা হেডম্যান পাড়া, তুমব্রু পশ্চিমকুল পাড়া, ঘুমধুম নয়াপড়া, ঘুমধুম পূর্বপাড়া এবং ঘুমধুম মধ্যম পাড়া। মূলত এসব পাড়ায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। এই পাড়াগুলোতে প্রায় ২৪০টি পরিবার বসবাস করে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। গতকাল থেকেই নারী ও শিশুরা সীমান্ত এলাকা ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। যারা এখনও আছেন তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। বাজারে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল নেই বললেই চলে।

আজ বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিন দিন ধরে সীমান্ত এলাকায় সংকট চলছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দুটি স্কুলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

সীমান্তের ওপার থেকে আসা বুলেট ও বোমার অংশে তাৎক্ষণিকভাবে হাত না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় অবিস্ফোরিত বুলেট ও বোমা বিস্ফোরণ হয়ে মানুষ হতাহত হতে পারে। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

এদিকে আজ দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে আরও এক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পেশায় কৃষক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানে আরও ১ জন গুলিবিদ্ধ

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ১১৫ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় আছে আরও ১১৪ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ২২৯ জন সদস্য।

আরও পড়ুন:

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বান্দরবানে নিহত ২

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানালো সরকার

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর