বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা, যা বললেন জি এম কাদের


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, রংপুর প্রকাশের সময় :১ জানুয়ারি, ২০২৪ ৬:৩৭ : অপরাহ্ণ
আজ দুপুরে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটাও রাজনীতির জন্য সুখবর নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অনেক আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা সেটা সময়ে বলে দেবে।’

আজ সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘২৬টি আসনে কোনো ভাগাভাগি হয়নি, এগুলো অপপ্রচার। আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম অস্ত্র-পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করবো। সেখানে আওয়ামী লীগ নিজেদের ইচ্ছায় নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছেন। একইসঙ্গে এসব আসনে তাদের শক্ত-সমর্থ স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছেন। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি। বরং যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে ২/১টি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছেন।’

সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে জিএম কাদের বলেন, ‘তাহলে আমাদের ছাড়টা কোথায় দেওয়া হল? আমরা তাদের সঙ্গে সব জায়গায় সরাসরি প্রতিযোগিতা করছি। কাজেই ভাগাভাগি কোথায় হল। আমরা আশাবাদী নৌকার সঙ্গে সরাসরি ফাইট দিয়েও অনেক জায়গায় জয়লাভ করতে পারবো। যদি পরিস্থিতি পরিবেশ ভালো থাকে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না। কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশনা আছে। যারা নির্বাচন করতে চান করবেন, না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের রয়েছে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রার্থীতা প্রত্যাহার হুমকির কারণে হতে পারে, অর্থের অভাবে হতে পারে। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে, প্রার্থীরা অন্য কারো প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আতাঁত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর