বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা স্বাস্থ্য

বিশ্বজুড়ে হঠাৎ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০৬ : অপরাহ্ণ
বিশ্বজুড়ে আবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
Rajnitisangbad Facebook Page

বিশ্বজুড়ে হঠাৎ আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা ভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি নতুন উপরূপ জেএন.১-কে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২৮ দিনে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫২ ভাগ।

গতকাল রোববার এ সংস্থাটি বলেছে, ২০ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে সাড়ে আট লাখ মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এ সময়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কমেছে শতকরা ৮ ভাগ। মারা গেছেন কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ।

১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা কমপক্ষে ৭৭ কোটি ২০ লাখ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছেন।

বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর নতুন আপডেট ইস্যু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং আইসিইউতে থাকা ব্যক্তিদেরও। মনিটরিং করা হয়েছে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট এবং বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ইস্যুতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ১৩ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ১৮ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৬০০ রোগীকে নতুন করে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। যথাক্রমে এই হার শতকরা ২৩ ও ৫১ ভাগ বেশি। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএ.২.৮৬ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সাবভ্যারিয়েন্ট অধিক সংক্রমণশীল হলেও এতে প্রাণহানি বা মারাত্মক অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা কম।

ওদিকে বিশ্বজুড়ে ইজি.৫ নামে আরেকটি সাব ভ্যারিয়েন্টকে সবচেয়ে বেশি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্টে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। তবে এর বিস্তার ঘটার আশঙ্কা প্রবল। বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে শীতের সময় জেএন.১ এর সংক্রমণ বেশি দেখা দিতে পারে। এতে অনেক দেশে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মহামারির সময় যেসব সতর্কতা দেয়া হয়েছিল প্রায় তা-ই এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর