শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা রাজধানী

১ জানুয়ারি থেকে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৪:৩৮ : অপরাহ্ণ
ফাইল ছবি।
Rajnitisangbad Facebook Page

শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি)।

এই দাবি যত দিন পূরণ না হবে ততদিন কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছে এসএসপি।

পাশাপাশি আগামীকাল রোববার থেকে সকল গার্মেন্টস সেক্টরে গণসংযোগ করবে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের উদ্যোগে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন এসএসপির প্রধান সমন্বয়ক এ এ এম ফয়েজ হোসেন।

মজুরি আন্দোলনে নিহতদের হত্যার বিচার, আহতদের চিকিৎসা, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, গার্মেন্টস সেক্টরে ঘোষিত মজুরি বাতিল করে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার নির্ধারণের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

ফয়েজ হোসেন বলেন, ‘১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ করেছি। এই শ্রমিক সমাবেশে আমরা দাবি উত্থাপন করেছি। এক মাস হয়ে গেলেও এ বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সাড়া দেয়নি। শ্রমিকদের দাবি পূরণ করে নাই। বিভিন্ন কল-কারখানায় মজুরি বৃদ্ধিতে আন্দোলনকারী ৪ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্যা শ্রমিক আহত হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়ানো হয়েছে সেই হারে মজুরি বৃদ্ধি অথবা দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি অকাট্য।’

এই অবস্থায় শ্রমিক শ্রেণী কী করতে পারে-এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হবে। কারখানা বন্ধ থাকবে, যতদিন না দাবি পূরণ হয়। রোববার থেকে সকল সেক্টরে গণসংযোগ চলবে। সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সকলের প্রতি আহ্বান ধর্মঘটকে সর্বাত্মক হরতালে পরিণত করে সফল করুন।’

আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি আমরা। সেই আন্দোলনে আমরা একটা স্টেজে এসেছি। সেখানে আমরা নির্বাচন বর্জনের কথা বলছি। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই রসিকতা ও খেলায় যাবেন না। বরং এ সময়ে নাতি-নাতনীর সঙ্গে খেলাধুলা করেন।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই নির্বাচন করার জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সরকার! জনগণের টাকা। এটা কি নির্বাচন? নির্বাচন মানে তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর উনাদের ভোটটা দিয়ে লাভ কি? যেখানে ১৭৪টি জায়গায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এই পরিস্থিতি যতদিন থাকবো ততদিন শ্রমজীবী, কৃষিজীবী এবং কর্মজীবী মানুষের কোন মূল্য এই সমাজ ও রাষ্ট্রে থাকবে না।’

শ্রমিকদের বেতন কম দেয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখান থেকে বাঁচার পথ একটাই। নিজেদের শক্তি বাড়ানো। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা। কারণ আমাদের নিজেদের স্বার্থে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর