রবিবার, ১২ মে, ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

অর্থনীতি বাঁচাতে সুষ্ঠু ভোট করতে হবে: সিইসি


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ৩:০৭ : অপরাহ্ণ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
Rajnitisangbad Facebook Page

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশিদের থাবা দুঃখজনক মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনে বাহিরের থাবা পড়েছে। দেশের অর্থনীতি ও পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের আইন-বিধি ও কর্মপদ্ধতি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমাদের নির্বাচনে কিন্তু বাহির থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যত অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচনটাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কিন্তু দেশ একটা সংকটে আছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচালে আছে। আমাকে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে কমান্ড করতে পারে, আমি কিন্তু সেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে হুমকি-ধামকি করতে পারছি না। এটা একটা বাস্তবতা।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাকে বাচঁতে হলে, আমার জনগণকে বাঁচতে হলে, আমার গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে, আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে.. যেই দাবিটা আমার, জনগণের পাশাপাশি বাহিরের (বিদেশীদের)। ওরা খুব বেশি দাবি করে নাই। একটাই দাবি বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এখানে কোনো কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং লক্ষ্মীপুরে ওখানেও সিল মারা হচ্ছে। আমারা সেটা প্রতিহত করতে পারি নাই। আমাদের প্রশাসন পারেনি। আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তারা পারেনি। এটা লজ্জাস্কর।’

সিলমারাটা নির্বাচনের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে দাবি করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা মন্দ সংস্কৃতি। পেশিশক্তির ব্যবহার করা। কালো টাকা ব্যবহার করা। এই ধরনের কারচুপি করা দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে।’

ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমেরিকার গণতন্ত্র আড়াইশো বছরের বেশি হয়ে গেছে। আমাদের গণতন্ত্র অনেক নতুন। কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক ধাক্কা, সামরিক শাসন, গণঅভ্যুত্থান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া স্থিরভাবে ৫০ বছর হয়ে উঠতে পারেনি।’

নির্বাচনের দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, ভোটার আসতে পারছে। তাদেরকে বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে। যদি থেমে থাকে তাহলে মনে করা হবে ভেতরে এই (সিলমারা) কাজটি হচ্ছে। লাইনটা চলমান থাকতে হবে। তারপর ওরা (ভোটাররা) ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বেরিয়ে আসতে পারছে কিনা।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর