দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কী কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরা তো ওদের (বিএনপি) মতো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি–জামায়াতের কর্মসূচির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আবার আগুনে মানুষ পোড়ানো শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত। এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা। পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা এসব যারা করে তাদের আটক করা হবে না তো কী করা হবে? যারা এসব সন্ত্রাস করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে। অগ্নিসংযোগে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বারবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে। জনগণের সমর্থন নিয়েই সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছে। এই সময়ে যে কারো পক্ষে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা কঠিন কিন্তু একমাত্র আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। জনপ্রিয়তা কমেনি বরং বেড়েছে। এখনো ৭০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখে। তারা আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন, যারা জনগণের কল্যাণেই কাজ করে। বাকিরা হত্যা ও ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বুঝে না।’
