সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বললো জাতিসংঘ


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ অক্টোবর, ২০২৩ ৯:০২ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ ছাড়া আরও ৩৯ দেশে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে এসব দেশের ক্ষমতাবান গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধস্পৃহা থেকে বেরিয়ে ‘ডু নট হার্ম’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার ‘কো-অপারেশন উইথ ইউনাইটেড নেশনস, ইট’স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড মেকানিজমস ইন দ্য ফিল্ড অব হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচআরসির চলমান সেশনে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই সেশন।

প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য যে ৪০ দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে, সেসব হলো—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহরাইন, বেলারুশ, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব (ডিআর) কঙ্গো, জিবুতি, মিশর, ফ্রান্স, গুয়েতেমালা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, সৌদি আরব, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিন।

আরও পড়ুন: ‘ড. ইউনূসের মামলা বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিপর্যস্ত অবস্থার প্রতীক’

২০২২ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ইউএনএইচআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৪০ দেশের অন্তত ২২০ ব্যক্তি ও ২৫ প্রতিষ্ঠান সরকার এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাগাতার হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার।

রাষ্ট্র ও ক্ষমতাবানদের উৎপীড়নের শিকার এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সবাই মানবাধিকার তৎপরতা ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত বলেও উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।

জাতিসংঘ মহাসচিব এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতিসংঘ সব রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলক তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভিন্নমত পোষণকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎপীড়নের ব্যাপারে জাতিসংঘ জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে চলে এবং জাতিসংঘ মনে করে, আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গুম-এগুলো সব ভাঁওতাবাজি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন, ‘সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করে তুলতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিশোধমূলক মামলাগুলোর প্রতি নিজেদের প্রতিক্রিয়া আরও জোরদার করব এবং বার্ষিক প্রতিবেদনগুলোতে এ সংক্রান্ত ঘটনা শনাক্ত করা ও নথিপত্রসহ উপস্থাপন করার প্রয়াস আমাদের অব্যাহত থাকবে। আমরা এ বিষয়ক তথ্যের প্রচারও শক্তিশালী করব।’

আরও পড়ুন: ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ যেন শান্তিরক্ষা মিশনে যেতে না পারেন’

গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচআরসির প্রধান ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ইলেজ ব্র্যান্ডস কেহরিস বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তারা উৎপীড়নের শিকার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর সঠিক সংখ্যা তুলে আনতে পারেননি। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের নানামুখী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিশোধমূলক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তা বাড়ছে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন ইলেজ ব্র্যান্ডস কেহরিস।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর