মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

কুমিল্লায় বিএনপির সভায় আ.লীগের হামলা, গুলি, আহত ৫০


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :২৬ আগস্ট, ২০২৩ ৮:২৯ : অপরাহ্ণ
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির সভায় হামলায় আহত দুজন। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

কুমিল্লায় বিএনপির সভায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে গুলি ছুড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শরিফ বলেন, একজনের পায়ে ও হাতে এবং আরেকজনের মাথায় ছররা গুলি লেগেছে।

আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির সভা পণ্ড হয়ে যায়।

বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, আজ দুপুর ২টায় লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলামের বাড়িতে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এ সময় গৈয়ারভাঙা বাজারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহর নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন নেতা-কর্মী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, গৈয়ারভাঙা বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে গিয়ে বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এবং বিএনপির নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে লুটপাট চালান। এ সময় আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করে পালাতে থাকেন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে মনির হোসেন নামের বিএনপির এক কর্মীর মাথায় গুলি লাগে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানের পায়ে ও পেটে গুলি লাগে।

কুমিল্লায় বিএনপির সভায় আ.লীগের হামলা, গুলি, আহত ৫০

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, অর্থমন্ত্রীর ভাতিজা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহর নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। আমরা কি কর্মিসভাও করতে পারবো না ?

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান দাবি করেন, আমরা কোনো হামলা করিনি। বিএনপির লোকজনই আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমাই থানার ওসি হানিফ সরকার বলেন, বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে বিএনপির মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, তবে লুটপাট হয়নি। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর