দীর্ঘ সাড়ে চার মাস পর কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এসময় জেলগেটে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান তার সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগমসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মীর শরফত আলী সপু, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
কারামুক্ত হয়ে রিজভী বলেন, ছোট কারাগার থেকে বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি। গোটা দেশই এখন কারাগার। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্রের মুক্তি মিললেই মানুষ সকল অধিকার ফিরে পাবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
পরে প্রাইভেট গাড়িতে করে সরাসরি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন রিজভী।
এরআগে গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ওইদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রুহুল কবির রিজভীসহ চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে।
পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।