সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৮ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৭ বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবাত শার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন-নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই উপজেলার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. আসিদ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন এবং চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজ ও আরব নিউজের খবরে বলা হয়, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। সড়কে থাকা একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, পাহাড় কেটে ওই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিল। এরমধ্যে ১১টি টানেল এবং ৩২টি সেতু আছে। সড়কটি ৪০ বছরেরও বেশি আগে নির্মাণ করা হয়।
জেদ্দায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসে থাকা ৪৭ জন ওমরাহ যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জন ছিলেন বাংলাদেশি। বাকি ১২ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ জন বাংলাদেশি (জীবিত) বলে সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকি ১৭ জন নিখোঁজ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে মিশন।
দুর্ঘটনায় মৃতদের লাশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে জানিয়ে মিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, বাসে ১২ জন ওমরাহ যাত্রী ছিলেন বিদেশি। এর বাইরে যারা ছিলেন সবই বাংলাদেশি। সে হিসাবে ১০ বাংলাদেশি মারা গেছেন এটা নিশ্চিত। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এ পর্যন্ত ১৭ বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন।