মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৩ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

রিকশাচালককে গুলি করে মারলেন যুবলীগ নেতা


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:২৯ : পূর্বাহ্ণ
নিহত রিকশা চালক মামুন হোসেনের এক স্বজনের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

পাবনার ঈশ্বরদীতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে এই রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থাও গুরুতর। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মামুন হোসেন ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারখালী মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

আহতরা হলেন- পশ্চিমটেংরি পিয়ারখালী মহল্লার শরীফ উদ্দিনের ছেলে রকি হোসেন (২৬) ও একই এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (২৮)।

অভিযুক্তরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় হোসেন এবং ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম। আনোয়ার হোসেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিনের ভাই।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পারভেজ জানান, আমরা দ্রুতগতির একটি নছিমন গাড়ি থামিয়ে তাকে দ্রুতগতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছিলাম। নছিমন থামানোর সময় পেছনে থাকা একটি লেগুনা ধাক্কা খেয়ে সেটির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়।

তিনি জানান, এ সময় নছিমন চালকের চাবি কেড়ে নিয়ে তার কাছ থেকে জরিমানা দাবি করেন লেগুনা চালক। জরিমানা নিতে লেগুনা চালককে বাধা দিলে তিনি একজন মহিলাকে ধাক্কা দেন। এ সময় মহিলাকে ধাক্কা দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রেগে চলে যান। পরে নছিমন চালকও স্থান ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী পারভেজ জানান, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আনোয়ার, হৃদয় ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন লোক এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- কেন আমরা জরিমানা নিতে বাধা দিয়েছি এবং নছিমন চালককে তাড়িয়ে দিয়েছি। শুরু হয় তর্কাতর্কি। সে সময় মামুন, রকি ও সুমনসহ আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে গুলি করেন। এতে মামুন হোসেন ও রকি হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তারা সুমনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে গুলিবিদ্ধ রকি হোসেন ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমনের অবস্থার অবনতি হয়। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর