লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ আসরে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। এটি ছিল আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন এলএমটেন।
পুরো আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন বল জিতে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপেও তিনি গোল্ডেন বল জিতেছিলেন।
নিজের প্রাচুর্যময় ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা ছিল ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি। এবার সেই আক্ষেপও ঘুঁচালেন ফুটবলের রাজপুত্র।
নিজের শেষ বিশ্বকাপটা রেকর্ডে রাঙিয়েছেন মেসি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে আজ খেলতে নেমে অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন তিনিই। ফাইনালের ম্যাচে মাঠে নেমে নিজের ২৬তম ম্যাচ খেলছেন তিনি। তাতে ছাড়িয়ে গেছেন জার্মান অধিনায়ক লুথার ম্যাথিউসকে (২৫)।
ম্যাচের পাশাপাশি সময়ের হিসাবেও শীর্ষে উঠে এসেছেন মেসি। ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২২১৭ মিনিট খেলেছিলেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২৪ মিনিট খেলার পরেই মালদিনিকে টপকে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ফাইনালে মাঠে নামার আগে ২১৯৪ মিনিট খেলেছিলেন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপের আসরে এই নিয়ে ১২টি গোল করেছেন মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেই পেলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন মেসি। বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির গোল মোট ১২টি। পেনাল্টি থেকে গোল করার পর মেসিরও গোল সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ১২টিতে।
এদিকে ১২টি গোলের সঙ্গে মেসির নামের পাশে রয়েছে ৮টি অ্যাসিস্ট। অর্থাৎ ২০টি গোলে মেসির সরাসরি অবদান। যা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো ও জার্মান তারকা মিরোস্লাভ ক্লোসার চেয়ে বেশি। এই দুই তারকা ১৯টি করে গোলে অবদান রেখেছিলেন। ফাইনালে গোল করে তাদের ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন মেসি।
এখানেই শেষ নয়। এ গোলের মাধ্যমে রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গ্রুপপর্ব, শেষ ষোল, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল এবং ফাইনালে গোল করার নজির গড়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, মেসির হাতেই স্বপ্নের শিরোপা