বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয় পার্টি

‘সরকার ইভিএম না কিনে এক কোটি দুস্থ ও বেকারকে সহায়তা করতে পারে’


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৬:১১ : অপরাহ্ণ
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু
Rajnitisangbad Facebook Page

প্রায় পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকায় দুই লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকায় ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত গরিবের ঘোড়া রোগ। সরকার মানুষের কষ্টের টাকায় ইভিএম না কিনে এক কোটি দুঃস্থ ও বেকারকে সহায়তা করতে পারে।’

আজ মঙ্গলবার জাপার চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু পরিষদের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় তিনিএসব কথা বলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হলো। শাসকদল শুধু ইভিএমে ভোট নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সরকারের শরিক কিছু দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে ইভিএম চেয়েছে। আর দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ ইভিএম-এ ভোট গ্রহণের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামতের গুরুত্ব না থাকে তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেন? নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রমাণ করে তারা নিরপেক্ষ নয়।’

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রত্যেককে চিনি। তারা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভালো পদোন্নতি এবং ভালো পদায়ন পেয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী।’

জাপা মহাসচিব বলেন, ‘যখন ডলারের অভাবে জ্বালানি তেল কিনতে পারে না দেশ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের হিমশিম অবস্থা। ওষুধ ও শিশুখাদ্য কিনতে পারছে না। এমন বাস্তবতায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইভিএম কেনার কোনো যুক্তি নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রমাণ করেছে, তারা নিরপেক্ষ নয়। ইসির বিবেক নেই, দেশপ্রেমও নেই।’

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘অনেক দেশই ইভিএমে নির্বাচন বন্ধ করেছে। ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে। ভারতের কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইভিএম বাতিল করবে। কিন্তু ইসি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম কিনতে উঠেপড়ে লেগেছে।’

জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তিনি নিয়োগ দিতে পারেন না। তাই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।’

সভায় জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহারের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর