ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসন্তানসহ দম্পতি মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকচালক রাজু আহমেদ শিপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ সদর দপ্তরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। ঘটনার পর থেকেই র্যাবের গোয়েন্দা শাখা নজরদারি বাড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় রাতে ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকচালক শিপনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি টিম।
এর আগে শনিবার বিকেলে তিনজনকে চাপা দেয়ার ঘটনায় পুলিশ ট্রাকটিকে জব্দ করতে পারলেও তাৎক্ষণিকভাবে পালিয়ে যান চালক।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা অজ্ঞাত আসামি করে মামলার পর পুলিশ চালককে খুঁজলেও তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: সেই শিশুটির নাম রাখা হলো ‘ফাতেমা’, শর্তে দেওয়া হবে দত্তক
গেলো শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও ছয় বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ত্রিশালের রায়মনি গ্রামের রত্না বেগম। অনাগত সন্তানের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে তা জানতে কাছেই একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে যাচ্ছিলেন তারা।
কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন পরিবারের সবাই। ঘটনাস্থলেই সবার মৃত্যু হলেও এ দুর্ঘটনায় বেঁচে যায় মাতৃগর্ভে থাকা শিশুটি।
দুর্ঘটনার পর আশপাশের লোকজন যখন কাছে গেল তারা দেখতে পেল তিনটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তারা জন্ম নেওয়া বাচ্চার কান্নাও শুনতে পাচ্ছিল। কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে কোথা থেকে কান্নাটা আসছে সেটা বুঝতে পারেনি। পরে তারা দেখে যে মহিলার বোরকার নিচে একটা বাচ্চা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ট্রাকের চাকার চাপে পেট ফেটে নাড়িভুঁড়িসহ বাচ্চাটা বের হয়।
ঘটনার মর্মান্তিকতা সাড়া ফেলেছে সারা দেশে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হচ্ছে আলোচনা।
নবজাতকটির দায়িত্ব নিতে চান অনেক বিত্তবান মানুষ। অনেকেই আসছেন দত্তক নিতেও।
