প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস উপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার নগরীর একটি হলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করেছিলেন ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দীন সরকার। এ দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়। তবে তাদের এই অপচেষ্টা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দিয়েছিলো। বাংলার মুক্তিকামী মানুষের দ্রোহের বিক্ষোভে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি দেয় তৎকালীন সরকার ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন সরকার। শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানে গণতন্ত্র। তাই তারা জনরোষকে প্রতিহত করতে না পেরে অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও জনগণের দল আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় ও সরকার গঠন করে। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি পায়।
বক্তারা বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার মাইলফলকই নয়, বরং শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তিনি আজ বিশ্বনেতাদের কাছে উন্নয়ন আর মানবিকতার প্রতীক।
সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. তসলিম উদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, মনোয়ার জাহান মনি, নাজমুল হুদা শিপন, আজাদ খান অভি, মিনহাজুল আবেদীন সায়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সরফরাজ নেওয়াজ রবিন।
