শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

আড়াই বছর পর কারামুক্ত হলেন সম্রাট


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২২ ৬:৪৬ : অপরাহ্ণ
আজ বিকেলে কারামুক্তির পর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কেবিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন জোবায়দুল হক রাসেল। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

আড়াই বছর আগে আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ চার মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তার জামিনের কাগজপত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) পাঠানো হয়। এরপরই তার কেবিনের সামনে থেকে কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সম্রাটকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে জামিনের কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

তবে বিএসএসএমইউ সূত্র জানিয়েছে, কারামুক্ত হলেও আজ সম্রাটকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্রাট এখনও অসুস্থ। তাকে আজই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না।’

এর আগে সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে সম্রাটের জামিনে তিনটি শর্ত দিয়েছেন আদালত। শর্তগুলো হলো-বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, পাসপোর্ট জমা এবং ৯ জুন ধার্য তারিখে মেডিকেল রিপোর্ট দেখাতে হবে।

সম্রাটের আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল গণমাধ্যমকে জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলায় ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন তিনি। আজকে দুদকের মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে সব মামলায় জামিন পেলেন।

ক্যাসিনো কাণ্ডে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে তার সহযোগী এহসানুল হক আরমানসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর তার কাছে বিদেশি মদ পাওয়ায় সে সময় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। সে সময় থেকে সম্রাট কারাগারে আছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।

২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অভিযান শুরুর পর সম্রাটসহ হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর