শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

সংসদে আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন পাস


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২:২৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চলমান সংসদের ১৬তম অধিবেশনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচিত এ বিলটি সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

বিরোধী দলীয় কয়েকজন এমপি বিলটি জনমত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব তুললে তা নাকচ হয়ে যায়।

তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সংসদে উত্থাপিত এ বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

কমিটি উত্থাপিত বিলে দুটি সংশোধনী এনে পাসের সুপারিশ করলে ধারা দুটি সংশোধন করে বিলটি পাস হয়।

পাস হওয়া আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে।

ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন সার্চ কমিটিতে দুই জন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব দেন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে সায় দিলে সংসদ তা ভোটে গ্রহণ করে।

অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশের জন্য যে সার্চ কমিটি থাকবে সেখানে একজন নারী থাকবেন।

বিলে বলা ছিল রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক।

সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক।

এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে।

সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা সংসদে উত্থাপিত বিলে ১০ কার্যদিবস ছিল।

প্রথমে বিলের নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।

সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।

উল্লেখ্য, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরগরম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। ইসি নিয়ে স্থায়ী সমাধানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একাধিক দল সংলাপে অংশ নিলেও যোগ দেয়নি বিএনপিসহ সাতটি দল।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর