নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৩৫ : অপরাহ্ণ
কক্সবাজারে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে (২৯) মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান জানান, ঘটনার পর আশিক কক্সবাজার থেকে মাদারীপুরে এসে আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে এ ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়।
এর আগে শনিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামিও রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, আশিকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদকসহ নানা অপরাধে ১৭টি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে এক মামলায় গত ১ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হন তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ‘সন্দেহ’ ট্যুরিস্ট পুলিশের
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মূল আসামিরা হলেন-আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও বাবু।
ট্যুরিস্ট পুলিশকে এ মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এক মার্কেটে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনার জের ধরে কয়েকজন যুবক ভুক্তভোগী নারীকে স্বামী ও সন্তানসহ পর্যটন গলফ মাঠের সামনে নিয়ে যায়।
পরে স্বামী ও সন্তানকে আলাদা করে তাকে অটোরিকশাযোগে তিন যুবক মিলে মাঠের পিছনে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট’, বসলেই বিল ৪ হাজার টাকা!
সেখানকার একটি ঝুপড়ি ঘরে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
একপর্যায়ে ওই নারীকে কক্সবাজারের মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল জিয়া গেস্ট ইন-এ নিয়ে যায় যুবকরা।
এরপর হোটেলটির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করে তারা।
খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরে ভুক্তভোগী নারীর তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটন গলফ মাঠ থেকে স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
আবাসিক হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজ এই ঘটনার সত্যতা মেলে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে সমুদ্রের পানিতে ভয়ংকর ‘ই-কোলাই’ ব্যাকটেরিয়া, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পর্যটকরা