রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্তত আটটি বাসে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তারা সড়ক অবরোধ করেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিআইটি রোডে সোনালী ব্যাংকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মৃত শিক্ষার্থীর নাম মাঈনুদ্দীন। তিনি স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই শিক্ষার্থী একটি বাস থেকে নামার পর পেছন থেকে আরেকটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তারা জানান, বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থীর দেহ একেবারে পিষে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা গ্রিন অনাবিলের বাসটিসহ অন্তত আটটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদগামী অনাবিল বাসের ধাক্কায় একজন পথচারী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে কথা বলে জানা গেছে, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি জানার পরই তাদের কয়েকটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেছে।
২৪ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যায়। সে ওই কলেজের মানবিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনার ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আহসান কবির খান নামে এক ব্যক্তি মারা যান।
এ দুই ঘটনার পর থেকে সড়কে মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখর রাজধানী। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতেই রাজধানীর সড়কে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ৭ জনের বাড়িতে লাল পতাকা