কক্সবাজার শহরে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। এতে আতঙ্কে শহরের কয়েক হাজার দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে যানচলাচলও। এতে বিপাকে পড়েছেন সৈকত ভ্রমণে আসা ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করায় প্রতিবাদে শহরজুড়ে এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করার ঘটনায় আজ বেলা দুইটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। মোনাফ সিকদারের বড় ভাই মো. শাহজাহান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় গুলি করার নির্দেশদাতা হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে ১ নম্বর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে ২ নম্বর আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মামলা গ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়লে মুজিবুর রহমানের কয়েক হাজার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এ সময় দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল–রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যায়।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুনাফ সিকদারসহ দুইজনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মুনাফ সিকদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মুনাফ সিকদার (৩২) শহরের পেশকারপাড়া এলাকার শাহাব উদ্দিন সিকদারের ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং শহর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।
গুলিবিদ্ধ মোনাফ সিকদার একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন-কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তাকে গুলি করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা গুলি করার সময় আমাকে বলছে-মুজিব চেয়ারম্যানের সঙ্গে লাগছো? এ বলে পেছন থেকে গুলি করে তারা পালিয়ে যায়।