চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সেন হল পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন যুব অধিকার ও ছাত্র পরিষদের তিন নেতাসহ দশজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-যুব অধিকার ও ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির (২৫), সদস্য সচিব মিজানুর রহমান (৩৭), বায়েজিদ থানা শাখার আহ্বায়ক ডা. মো. রাসেল (২৬), ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক ইমন (২১), ইয়ার মোহাম্মদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৯), হাবিবুল্লাহ মিজান (২১) ও টেরিবাজারের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন। এর বাইরে দুই কিশোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—মো. মিজান (১৭) ও গিয়াস উদ্দিন (১৬)।
পুলিশ জানিয়েছে, যুব অধিকার ও ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ও বায়েজিদ থানা শাখার আহ্বায়ক ডা. মো. রাসেলের ‘নেতৃত্বে’ ১৫ অক্টো্বর বিজয়া দশমীর দিনে পূজা মণ্ডপে হামলা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক গণমাধ্যমকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ, ঘটনাস্থলের ছবি ও গ্রেপ্তার আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে গ্রেপ্তারকৃতদের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারাই হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার পুরো কাজটি করেছেন।
তিনি জানান, হামলার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন যুব অধিকার ও ছাত্র পরিষদ নেতা নাছির, মিজানুর ও রাসেল। তাদের পরিকল্পনাতেই জুমার নামাজ শেষে তাৎক্ষণিক মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। পরে সেই মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তিনজন ও আন্দরকিল্লা মদিনা হোটেলের ম্যানেজার ইমরান হোসেন হামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনার জেরে ১৫ অক্টো্বর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের আগে চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হল পূজা মণ্ডপে হামলা হয়।
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর মিছিল নিয়ে এসে জেএম সেন হল পূজা মণ্ডপের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা।পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে। সেখানে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।