সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

সরকারকে কটাক্ষ ফখরুলের

‘এই সরকার হচ্ছে যে, তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই’


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৯ আগস্ট, ২০২১ ১০:৩২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার হচ্ছে যে, তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ তাদের টাকা চাই। আর সেই সঙ্গে যেটা দরকার হয়, সেটা হলো তারা পিঠে কুলা দিয়েছে, যেখানে কোনো রকমের পরিস্থিতি তারা আঁচই করতে পারে না।’

সোমবার (৯ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে তার পরিবার।

আলোচনা সভার পর প্রয়াত নেতার সহধর্মিনী কামরুন্নাহার শিরিনসহ তার সন্তানদের তত্ত্বাবধায়নে নাটোরের লালপুর-বাগাতিপাড়ায় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং সত্যিকার অর্থেই জনগণের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে। আমরা প্রথম থেকে সরকারকে সতর্ক করেছিলাম যে, একটা জাতীয় কনভেনশন করে অথবা সমস্ত রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ, সকল সামাজিক সংগঠন-এনজিও তাদের সমন্বয়ে একটা কমিটি গঠন করা হোক। প্রত্যেকটি লেভেলে যাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই সংক্রমণকে মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সরকার এটাকে কর্ণপাতই করেননি।’

সরকারের আমলা নির্ভরতাই আজকের করোনা পরিস্থিতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনা, একেবারে দলীয় সংকীর্ণতা, দলীয়করণ এবং দুর্নীতি আজকে সমস্ত ব্যবস্থাটাকে গ্রাস করে ফেলেছে।’

লকডাউন নিয়ে আবারও সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার লকডাউন দেয়। কিসের লকডাউন কেউ বুঝতে পারি না আমরা। কখনও বলে লকডাউন, কখনও বলে সরকারি ছুটি, কখনও বলে কঠোর লকডাউন। এই যে একটা অবস্থা তৈরি করেছে-তামাশা। তাদের কাছে মানুষের জীবন-জীবিকা একটা তামাশা।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা তরুণ আছেন, যুবক আছেন তাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে, তাদের সাহস নিয়ে রাজপথে আসতে হবে। রাজপথ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেই রাজপথে আসার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে।’

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নিজের মধ্যে দলাদলিটা একেবারে বন্ধ করুন, নিজেদের মধ্যে কোন্দলটা বন্ধ করতে হবে। ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। ঐক্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে যেতে হবে। আমাদের বাম-ডান, দক্ষিণ-পশ্চিম সকলকে একসাথে করতে হবে এবং সকলকে একসাথে এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত ও ওবায়দুর রহমান চন্দন, নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, প্রয়াত পটলের ছেলে ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন ও লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ পাপ্পু।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর