রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
টুর্নামেন্টের প্রথম আসর থেকেই গ্ল্যামার ও অর্থের ছড়াছড়ি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটে। যেখানে মাঠের ক্রিকেটে যেমন থাকে উত্তেজনা, তেমনি খেলার বাইরেও উপভোগ করার অনেক কিছু। আর মাঠের খেলায় ভালো করলে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার তো নিশ্চিতই!
করোনাভাইরাসের কারণে এবার রুদ্ধদ্বার গ্যালারিতে হয়েছে আইপিএলের পুরো আসর। তাতে গ্ল্যামারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে খানিক। কিন্তু অর্থের ঝনঝনানি কমেনি একটুও। শুধু ফাইনাল ম্যাচেই দেয়া হয়েছে ৫১ কোটি ৩ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫৮ কোটি টাকা) অর্থ পুরস্কার। ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে দেয়া হয়েছে এ পুরস্কার।
সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি রুপি গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিট্যালসকে ৫ উইকেটে হারানোর মাধ্যমে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা জেতার পাশাপাশি এবারের ২০ কোটি রুপির চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানিও জিতেছে তারাই।
ফাইনালে মুম্বাইয়ের কাছে হেরে প্রথমবার আইপিএল রানার্সআপ হওয়া দিল্লি পেয়েছে সাড়ে ১২ কোটি রুপির চেক। এছাড়া প্লে-অফ থেকে বাদ পড়া দুই দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে দেয়া হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দুইটি ৮ কোটি ৭৫ লাখ রুপির চেক।
অর্থাৎ আইপিএল ফাইনালের রাতে দলীয় পুরস্কারেই খরচ করা হয়েছে পুরো ৫০ কোটি রুপি বা ৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া আরও ৮টি ব্যক্তিগত পুরস্কারে দেয়া হয়েছে ৮৫ লাখ রুপি। ফাইনালের ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৫ লাখ রুপি জিতেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া পাওয়ারপ্লেয়ার অব দ্য সিজন হিসেবে পেয়েছেন আরও ১০ লাখ রুপি।
এর বাইরে আরও ৭টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়েছে ১০ লাখ রুপি করে পুরস্কার। টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার।
ফাইনালে দেয়া পুরস্কার তালিকা
ম্যান অব দ্য ফাইনাল – ট্রেন্ট বোল্ট (৫ লাখ রুপি)
ইমার্জিং প্লেয়ার অব দ্য সিজন – দেবদূত পাড্ডিকাল (১০ লাখ রুপি)
ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অব দ্য সিজন – জোফরা আর্চার (১০ লাখ রুপি)
গেমচেঞ্জার অব দ্য সিজন – লোকেশ রাহুল (১০ লাখ রুপি)
সুপারস্ট্রাইকার অব দ্য সিজন – কাইরন পোলার্ড (১০ লাখ রুপি)
সর্বোচ্চ ছক্কা – ইশান কিশান (১০ লাখ রুপি)
পাওয়ারপ্লেয়ার অব দ্য সিজন – ট্রেন্ট বোল্ট (১০ লাখ রুপি)
পার্পল ক্যাপ উইনার – কাগিসো রাবাদা (১০ লাখ রুপি)
অরেঞ্জ ক্যাপ উইনার – লোকেশ রাহুল (১০ লাখ রুপি)
ফেয়ারপ্লে এওয়ার্ড – মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (অর্থ পুরস্কার নেই)
চতুর্থ স্থান – রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (৮.৭৫ কোটি রুপি)
তৃতীয় স্থান – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৮.৭৫ কোটি রুপি)
রানার্সআপ – দিল্লি ক্যাপিট্যালস (১২.৫০ কোটি রুপি)
চ্যাম্পিয়ন – মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (২০ কোটি রুপি)