বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুনের ঘটনায় ঢাকার তীব্র নিন্দা


কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের একটি হিন্দু সংগঠন এ ঘটনা ঘটায়।

আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করছে যে, কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামে কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠন সহিংস বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছায়। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে হলেও ডেপুটি হাইকমিশনের সব সদস্যের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা করে। একইসঙ্গে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতে বাংলাদেশের অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে এবং এটাকে মিডিয়ার বাড়াবাড়ি হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেন।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি ও হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত সরকার নিয়মিত জোরালোভাবে উত্থাপন করেছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।

আরও পড়ুন: আইনজীবী সাইফুল হত্যা: ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে যা দেখা গেলো

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর