রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এমন কথা বলেন।
নির্বাচন কবে হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে। অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পসন (প্রাথমিক অনুমান)।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটি লাগবে। সার্চ কমিটি করতে হলে পিএসসির চেয়ারম্যান লাগবে। সেটার নিয়োগ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রথম কাজ হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। সঠিক ভোটার তালিকা করতে হবে। নির্বাচনের জন্য এসব ধাপ চিন্তা করতে হবে। কিছুদিনের মধ্যে সার্চ কমিটি হবে বলে জানান তিনি। এরপর নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনি নিশ্চয় ভুয়া নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচন করা হোক, সেটা চান না। নিশ্চয় কেউ চায়নি হাবিবুল আউয়াল কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে। এটা কেউ কল্পনাও করতে পারে না।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর প্রথম কাজ হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। ফ্যাসিস্ট সরকার ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের ভোটার তালিকা নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা করেছিল। হয়তো ভয় ছিল, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে কী অবস্থা হবে।’
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনারা অনুসন্ধান করুন, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকার নামে কী করা হয়েছিল। সুতরাং ভোটের আগে একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ছাড়া এই ভোটার তালিকা তৈরির আদেশ কেউ দিতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টার আদেশে ভোটার তালিকা হবে না। নির্বাচন কমিশনের আদেশে হবে।’
ওই অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, দ্রব্যমূল্য নিয়েও কথা বলেন আসিফ নজরুল।
তিনি সবচেয়ে ক্ষমতাধর উপদেষ্টা-এমন ধারণার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভুল প্রচার এবং উপদেষ্টা পরিষদের অন্য উপদেষ্টাদের মতো আমারও একই সমান ক্ষমতা।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র নেতাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেন এবং এটি যৌক্তিকভাবে সম্পন্ন হয়।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা এখন কোথায়, জানালো ভারত